মাসুদ উল হাসান ॥
জামালপুরের বকশীগঞ্জে ভুয়া জন্ম সনদে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় এক বাল্যবিয়ে বন্ধ করেছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা। একই সময় বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় কনের বড় ভাই,বর ও বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্ট্রারের (কাজি) দুই সহযোগীকে ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন তিনি। শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে পৌর শহরের চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকায় কনের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়,বকশীগঞ্জ পৌর শহরের নয়াপাড়া এলাকার সুরুজ্জামানের ছেলের সাথে চরকাউরিয়া সীমারপাড় এলাকার এক কিশোরীর বিয়ে ঠিক হয়। ভুয়া জন্ম নিবন্ধনের মাধ্যমে উভয় পক্ষই বিয়ের আয়োজন করে। শুক্রবার রাতে বরপক্ষ বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসে। বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বিয়ে পড়ানোর সময় পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হানা দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় বর ও কনে পক্ষের লোকজন। পরে বাল্যবিয়ে আয়োজন করায় কনের বড় ভাই সাজ্জাদ হোসেন (২৬),বর রিয়াদ হাসান (১৭),বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের কাজি খন্দকার নুরুল ইসলামের দুই সহযোগী গো-হাটি এলাকার মৃত আবদুল আজিজের ছেলে সিহাব (৫০) ও ঝালরচর এলাকার মৃত ছামছুল হকের ছেলে সাইফুল ইসলাম কালাম কে ( ৫২) ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুনমুন জাহান লিজা এই রায় দেন। এ সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাবিনা ইয়াছমিন,সুপারভাইজার সুশান্ত কুমার চক্রবর্তী ও এ এস আই জুবায়েল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। শনিবার সকালে তাদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনমুন জাহান লিজা বলেন, যেখানেই বাল্যবিয়ে সেখানেই প্রতিরোধ। বাল্যবিয়ে বন্ধে বদ্ধ পরিকর উপজেলা প্রশাসন। বাল্যবিয়ে বন্ধে জিরোটলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছি। আপনারা শুধু তথ্যদিয়ে সহযোগীতা করবেন। বাল্যবিয়ের আয়োজন করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
বকশীগঞ্জে জাল সনদে বাল্যবিয়ের আয়োজন,ভ্রাম্যমান আদালতে চারজনের ৬ মাসের জেল
