-3.7 C
Munich
Monday, February 17, 2025

৯২’র পথেই হাঁটছে পাকিস্তান

Must read

২৭ বছর পিছনে ফেলে এসে একটি নতুন প্রজন্মের হাত ধরে পাকিস্তান বিশ্বকাপে যেন ১৯৯২’র স্মৃতিই ফিরিয়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। মেলবোর্নে ১৯৯২ সালের বিশ্বকাপে যেভাবে ধীর গতিতে শুরু করে শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক ইমরান খানের হাত ধরে শিরোপার দেখা পেয়েছিল ঠিক সেভাবেই যেন এবারও ইংল্যান্ডে সেই একই পথে হাঁটছে সরফরাজ আহমেদের পাকিস্তান।
জয়-পরাজয়ের পরিসংখ্যানে একেবারে একইরকম পরিস্থিতিতে পাকিস্তান এবারও ধীরে ধীরে সেমিফাইনালের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেট পাগল দেশটির কোটি সমর্থকও ইতোমধ্যেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছেন আরো একবার বিশ্বকাপের শিরোপা তাদের ঘরেই আসছে। উভয় বিশ্বকাপেই পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একপেশে পরাজয়ের মধ্য দিয়ে। এরপরই তারা দ্বিতীয় ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে লড়াইয়ে ফিরে আসে। ১৯৯২ সালে দ্বিতীয় ম্যাচটি তারা খেলেছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে, আর এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। দুটি আসরে তাদের তৃতীয় ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়েছিল। এরপরই টানা দুটি দুটি ম্যাচে পরাজয়ের পর দুটি ম্যাচে জয়ী হয়। শুধুমাত্র তাই নয় উভয় পরিস্থিতিতে তারা এই পর্যায়ে এসে নিউজিল্যান্ডকেই পরাজিত করেছিল, যে দলটি ১৯৯২ ও ২০১৯ সালেই পাকিস্তানের কাছে পরাজিত হবার আগ পর্যন্ত অপরাজিত ছিল।
১৯৯২ সালে পাকিস্তানের পক্ষে খেলা কিংবদন্তী পেসার ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘পুরো পরিস্থিতি একই। ফলাফল, পয়েন্ট সবকিছুই। ঐ সময় আমরা সেমিফাইনালে যাবার জন্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরাজয় প্রত্যাশা করেছিলাম। সেবারও আমরা নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করেছিলাম। আশা করছি টুর্নামেন্টের শেষটাও একই হবে।’
আরেকটি মিল পাকিস্তানের পক্ষে খুঁজে পাওয়া গেছে। ১৯৯২ সালে ১৮ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হয়েছিলেন ওয়াসিম। এবারও আরেক বাঁ-হাতি পেসার মোহাম্মদ আমির ১৬ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। ওয়াসিম বলেন, আমি নিশ্চিত খেলোয়াড়রা ইতোমধ্যেই এসব নিয়ে নিজেদেরে মধ্যে আলোচনা করেছে ও এর থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজে পাচ্ছে।
তবে পাকিস্তানী অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ এসব মিল খুঁজতে নারাজ। তিনি বলেন, ‘এগুলো সবই ইতিহাস। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমরা এবার অপরাজিত থাকা নিউজিল্যান্ডকে পরাজিত করেছি। যার মাধ্যমে আমরাও সেমিফাইনালে স্বপ্ন দেখতেই পারি।’
সমর্থকরাও বিশ্বাস করেন টুর্নামেন্টের শেষটাও যেন একই হয়। একজন তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন, ‘১৯৯২ সালে ইমরান খানের নেতৃত্ব পাকিস্তান বিশ্বকাপ জয় করেছিল। ২৬ বছর পর ইমরান খান পাকিস্তানের প্রধান মন্ত্রী হয়েছেন। সরফরাজেরও রাজনীতিতে যোগ দেয়া উচিত, তাহলে ২০৪৫ সালে সেও এই পদে আসীন হবে।’

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article