স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ শহরের প্রাণকেন্দ্র রমেশ সেন রোডে পতিতাপল্লীতে গত ১৮/৯/১৯ ইং সেপ্টেম্বর পতিতালয়ে সেতু (১৬) নামে এক কিশোরী খুন হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে। সর্দারনীর দাবী সেতু অসুস্হ্য হয়ে পড়লে বিকাল ৪টা ১৫মিনিটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ভর্তির পরের দিন রাত ৮ টায় সেতু হাসপাতালে মারা যায়।
সূত্র জানায়, পতিতালয়ের ১নং বাড়ীর সর্দারনী আনুর ভাড়াটিয়া লাবনীর ঘরে এই মেয়ে দেহ ব্যবসা করতো। ঘটনার দিন কিশোরী সেতু খুবই অসুস্থ্য থাকার পরেও তাকে নির্যাতন করে এবং তার ঘরে জোড় করে কাষ্টমার (খদ্দের) পাঠানো হয়। খদ্দের যাবার পরই সেতু নামের এই যুবতী মারাত্নক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে, সর্দারনী লাবনী ও অজ্ঞাতনামা একজনকে সাথে নিয়ে সেতুকে ভর্তি করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরের দিন রাত ৮ টায় সে মারা যায়। সেতুর মারা গেছে, এ বিষয়টি চতুর সর্দানী লাবনী বুঝতে পেরে চিকিৎসার কাগজ পত্র নিয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় ।
পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পেরে সর্দারনী লাবনীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, প্রায় দেড় মাস পূর্বে লাভলী, বেবী, বীনা ও অজ্ঞাতনামা সর্দারনী মিলে সেতুকে পতিতালয়ে নিয়ে আসে, সেখান থেকে হাত বদল করে চড়া দামে সর্দারনী লাবনী সেতুকে কিনে ও তার ঘরে নিয়ে আসে ।
উল্লেখ্য যে সর্দারনী লাবনী সেতুর ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে এফিডেভিট করায় হতভাগ্য কিশোরীর মৃত্যুর খবর কেউ জানতে পারেনি। এখনো অনেক কিশোরী-যুবতী আছে, যারা বিভিন্ন দালালের খপ্পরে পরে ময়মনসিংহ পতিতাপল্লীতে নির্যাতিত হচ্ছে ।
সূত্র জানায়, বিভিন্ন সময় সর্দারনীরা চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে নাবালিকা যুবতী মেয়েদের এনে জোড় করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা হয়। এসব নাবালিকা যুবতী বের হওয়াতো দূরের কথা সূর্যের আলোও ঠিকমত দেখতে পারে না। এর আগেও পতিতাপল্লীর ১ নং বাড়ী থেকে বেবী নামে সর্দারনীর ঘরে যুবতীর লাশ পাওয়া যায়। এসব ঘটনা টাকা দিয়ে ধামাচাপা দেওয়া হয়। পতিতাপল্লীর আসলাম ও জহুরাকে মেয়ে কেনার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করেছিল ডিবি পুলিশ। প্রায় ৫০ সর্দারনীর মধ্যে বেশীর ভাগ সর্দারনীর নামে নারী নির্যাতন মামলা রয়েছে।
এদিকে গতকাল ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং সেতুর লাশ পোস্টমর্টেম করা হয়েছে । সেতুর কোন আত্মীয়-স্বজন না থাকায় লাশ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হিমাগারে পড়ে আছে ।